It was 5 o’clock in the morning and I woke up to the sound of nature in the forest.
সেমিস্টার ব্রেকে কোনোরূপ ট্যুর ছাড়া নতুন সেমিস্টার শুরু করবো এটা ভাবতেও পারি না। এবারের সেমিস্টার ব্রেকে বেশ কিছু পেন্ডিং কাজ ছিল সেগুলা শেষ করে হালকা রিলাক্স হয়ে ভাবতে থাকি কোথায় যাওয়া যায় । বান্দরবান এর প্ল্যান প্রথম থেকেই এবার মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলি। নতুন এক্সপেরিয়েন্স গ্যাদার করার একটা শক্ত ইচ্ছে ছিল সাথে এই উইন্টার এ একটা ক্যাম্পিং এক্সপেরিয়েন্স এর ইচ্ছেও ছিল।
ক্লাইম্বিং নিয়ে Wilderness BD এর একটি পোস্ট ফেসবুকে দেখতে পাই। কোনোরূপ ভাবনা শেষে সিট বুক করে ফেলি।
১৯ জানুয়ারী রাতে রওনা হই মিরসরাই এর উদ্দেশে ঢাকা থেকে আমরা ৮ জন। ভোর ৪ টার পর পর আমরা পড়ছে যাই। হাড়কাঁপা ঠান্ডায় সিএনজি নিয়ে যাই খৈয়াছড়া ঝর্ণা রেস্টুরেন্ট এ। খানিকটা রেস্ট নেই। ঠান্ডা থেকে বাঁচতে কোনো রকম উপায় না পেয়ে আসে পাশের ঝোপ ঝাড় থেকে পাতা দল কালেক্ট করে আগুন জ্বালিয়ে ফেলি। এক ঘন্টার মতো টাইম নিয়ে মোটামোটি এরিয়া সাফ করে ফেলি আশেপাশের।
সকাল ৮ টার পর পর চিটাগাং থেকে চলে আসে সাদাত ভাই , বাসার ভাই , শিহাব ভাই , সাকিব ভাই। সকালের নাস্তা শেষে সাদাত ভাই আমাদের সবাই কে আজকের এক্টিভিটিস নিয়ে ব্রিফ করা স্টার্ট করে। ক্লাইম্বিং এর ইকুইপমেন্ট এর একটা শর্ট ইন্ট্রোডিউস করিয়ে দেন সাথে সেফটি ইস্যুস। ক্লাইম্বিং ইকুইপমেন্ট এর সাথে পরিচিত হওয়া আমার জন্য একটা সুন্দর এক্সপেরিয়েন্স ছিল। হার্নেস , কারাবিনার , রোপ , ডিসেন্ডের ইত্যাদি ।
প্রতিটা ইকুইপমেন্ট এর ইউসেজ নিয়ে হালকা বলা যাক। বলে রাখা ভালো আমি যতটুকু ইউসেজ বুজতে পেরেছি আমি সিম্পলি সেটাই উল্লেখ করবো। প্রতিটি ইকুইপমেন্ট এর ব্যবহার আরো অনেক বেশি বিস্তৃত। হার্নেস মূলত ক্লাইম্বারদের রোপ এর সেফটি দিয়ে থাকে। ক্লাইম্বিং এ ক্যারাবিনের ব্যবহার বহুল। ক্যারাবিনার একপ্রকার ক্লিপ যা রোপ এন্ড হার্নেস এর সাথে কানেক্ট করতে ইউস করা হয়। ক্যারাবিনার ইউস এর উপর ডিপেন্ড করে ডিফারেন্ট টাইপের হয়ে থাকে। ক্লাইম্বিং এ Kernmantle রোপ ইউস করা হয়। Kernmantle রোপ একটি অভ্যন্তরীণ কোর (সাধারণত নাইলন) ফাইবার নিয়ে গঠিত। এর ভেতরের কোরটি নাইলন / পলিয়েস্টার দিয়ে তৈরি। ডিসেন্ডার রোপ এর ফ্রিকশন রেগুলেট বা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহার হয়।
এক্টিভিটিস ব্রিফ শেষে আমরা রওনা হই খৈয়াছড়া ঝর্ণার দিকে। ঝর্ণার ফিফথ /সিক্সথ স্টেপ এ চলে যাই। সেখানেই আমাদের একটিভিটিস রোপ সেটেলমেন্ট করা থাকে আগে থেকেই। প্রথমে আমরা রেপেলিং এর প্রিপারেশন নেই। সংক্ষিপ্তভাবে রেপেলিং একধরণের কৌশল যা একটি নির্দিষ্ট দড়ি নিচে নিয়ন্ত্রিত স্লাইড তৈরি করে পাহাড় এবং ক্লিফ থেকে অবতরণ ব্যবহার করা হয়। রেপেলিং আমরা জন্য একটা মনে রাখার মতো এক্সপেরিয়েন্স ছিলো। ফার্স্ট ট্রাই এ একটু ভয় লাগলেও পরবর্তীতে ট্রাই এ বেশ এনজয় করি।
এরপর একে একে জুমারিং, বোল্ডারিং শেষে দুপুরের পর পর আমরা লাঞ্চ এর জন্য খৈয়াছড়া মূল ঝর্ণার দিকে ব্যাক করি।
সন্ধ্যার দিকে আমরা ক্যাম্পিং এর জন্য খৈয়াছড়ার পাশের একটি প্লেস এ যাই। টেন্ট আগে থেকেই রেডি করে রাখা হয়। ফ্রেশ হয়ে ক্যাম্প ফায়ার এর সাথে চলতে থাকে আড্ডা আর সাথে সাদাত ভাইয়া আমাদের সবার জন্য চা কফির আয়োজন করেন। রাত ৯ টার দিকে বারবিউ শুরু হয়। রাতে খাবার শেষে আবারো ক্যাম্পিং আড্ডা জমে উঠে। ফাইনালি ইট'স টাইম টু স্লীপ।
২১ জানুয়ারী ভোর ৫ টায় ঘুম ভেঙে যায়। মর্নিং চা খেয়ে আশেপাশে একটু হাঁটাচলা করে আজকের একটিভিটি শুরু হয়ে যায়। আজকের ফাইনাল একটিভিটি ছিল ট্রি রাপেলিং এন্ড রিভার ক্রসিং। চমৎকার আরো দুটি এক্সপেরিয়েন্স করে ফেলি। একটিভিটি গুলোর ফিলিংস লিখে কখনোই প্রকাশ করা পসিবল না শুধু এটা নির্দ্বিধায় বলতে পারি বিফোর ইউ ডাই মাস্ট ট্রাই।
দুপুরের লাঞ্চ ঝর্ণা রেস্টুরেন্ট এ সেরে ফেলে বিকাল চার টার দিকে বাস স্টপ চলে আসি। রাতে সবাই ঢাকা পৌঁছে যাই।
খুব সংক্ষিপ্ত একটা টাইম এর একটা এক্সপেরিয়েন্স ছিল বাট এতো সব কিছুর মাঝে এই শর্ট টাইমটা অনেক বেশি লং মনে হচ্ছিলো।
এই ক্লাইম্বিং এক্সপেরিয়েন্স আমাকে যদি একটি জিনিস শিখিয়ে থাকে, তা হল- এনজয় , টেক রিস্ক এন্ড লিভ লাইফ ।