DARJEELING TRIP - Part 01 (দার্জিলিং ভ্রমণ - পর্ব-০১)
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সকাল ৮ টায ঘুম থেকে উঠে পড়ি। সুৱাগ দা নয়টার মাঝেই গাড়ি নিয়ে চলে আসবে। একঘন্টার মাঝে ব্রেকফাস্ট এন্ড রেডি হয়ে নিতে হবে। ঘুম থেকে উঠেই দ্রুত ফ্রেশ হয়ে ব্রেকফাস্ট এর জন্য নিচে হোটেল ডাইনিং এ চলে আসি। ব্রেকফাস্ট শেষ করে রুম এ এসে রেডি হয়ে নেই। বাইরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। এদিকে সুৱাগ দা অলরেডি হোটেল এর নিচে গাড়ি নিয়ে চলে এসেছে। দ্রুত রেইনকোট এবং ক্যামেরা সিলিং নিয়ে বের হই।
আজকের প্রথম গন্তব্য দার্জিলিং এর টি গার্ডেন (Tea Garden)। খুব কম সময়ের মাঝেই চলে আসি টি গার্ডেন এ। বৃষ্টি এবং চারিদিকে কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকায় গার্ডেন এর কিছুই দেখতে পাই নি। হালকা একটু নিচে নেমে আবার ফিরে চলে আসি। টি গার্ডেন এর উপরেই ফ্রি তে ডিফারেন্ট ফ্লেভার এর টি টেস্ট করা যায় এবং কোনো ফ্লেভার পছন্দ হলে সেখান থেকে ডাইরেক্টলি সেই ফ্লেভার এর টি কেনা যায়। মশলা টি আমার কাছে বেশ দারুন লেগেছে। দুই প্যাকেট মশলা টি কিনে নিয়ে গাড়িতে উঠে বসি।
বৃষ্টি আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করেছে। এবারের গন্তব্য তেনজিং রক (Tenzing Rock)। বিশাল তেনজিং রকটির নামকরণ করা হয়েছে তেনজিং নোরগে, যিনি 1953 সালে এডমন্ড হিলারির সাথে মাউন্ট এভারেস্ট আরোহণের জন্য বিখ্যাত ছিলেন।
বান্দরবান এ রক অনেক দেখেছি তাই এখানে তেমন দেরি না করে চলে আসি দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় ( Darjeeling Chiriyakhana). বেশি সময় না নিয়ে হালকা একটু ঘুরে চলে যাই দার্জিলিং হিমালিয়ান রেলওয়ে (Darjeeling Himalayan Railway) .
দার্জিলিং টয় ট্রেন এর কথা ছোটবেলা থেকে অনেক শুনেছে দেখেছি। আজ নিজে উঠবো এই ট্রেন এ। স্টেশন এ এসেই দ্রুত দেরি না করে ইনস্ট্যান্ট পরের ট্রেন এর বুক করে ফেলি। তখন অলমোস্ট ১১ টা ১৫ । টয় ট্রেন ছেড়ে দিবে ১১ টা ৪০ এ। স্টেশন এ বিভিন্ন শপ ভিসিট করতেই ট্রেন চলে আসে। বিশাল ধোয়ার কুন্ডলি পাকিয়ে সামনে আসছে ট্রেন। ট্রেন ছাড়ার দুই এক মিনিট আগে উঠে পড়ি ট্রেন এ।
ট্রেনটি দার্জিলিং শহর ঘুরতে ঘুরতে ৩০ মিনিট পর বাতাসিয়া লুপ (Batasia Loop) এ এসে ১৫ মিনিটের ব্রেক দেয়। বাতাসিয়া লুপ একটি সর্পিল রেলপথ যা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলার দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের আরোহণের গ্রেডিয়েন্ট কমানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই রেলপথটি একটি সুড়ঙ্গের মাধ্যমে এবং একটি পাহাড়ের চূড়ার উপর দিয়ে চলাচল করে। এটি ১৯১৯ সালে চালু হয়েছিল। অনেকের বিভিন্ন সাজ দেখছিলাম ট্রেন থেকে নেমে। মেঘে আচ্ছন্ন আর সাথে বৃস্টি থাকায় চারপাশ খুব ভালো করে দেখতে পাই নি।
এরপর
হোইসেল পড়লে আবার ট্রেন এ উঠে পড়ি. কিছুক্ষন পর ট্রেন টি চলে আসে ঘুম মিউজিয়াম এ। ২০ মিনিট এর ব্রেক থাকে ঘুরে দেখার জন্য। ঘুরে সব দেখতে থাকি এরই মাঝে কথা হলো মালয়েশিয়ান এক কাপলের সাথে। বেশ কিছুক্ষন কথা হলো তাদের সাথে। তারা বাংলাদেশের ট্রাভেল করবে এবং তাদের বাকি জীবন ট্রাভেল এ কাটাবে জানালো।
হোইসেল পড়লে আমি দেরি না করে এক কাপ চা নিয়ে ট্রেন এ উঠি। এবার সেম রোড দিয়ে ব্যাক করে ট্রেনটি। দুপুর ২ তার কাছাকাছি সময়ে স্টেশন এ ট্রেন থেকে নেমে পড়ি। টয় ট্রেন এ থাকা অবস্থায় জানালা দিয়ে বেশ কিছু স্ট্রিট ফোটোগ্রাফি করি। আলাদা ভাবে স্ট্রিট পিপল দেড় নিয়ে আরেকটা আর্টিকেল লিখবো। আকাঙ্খিত টয় ট্রেন এর যাত্রা শেষ। স্টেশন এ সুৱাগ দা র জন্য ওয়েট করছিলাম। সুৱাগ দা চলে আসলে আজকের দিনের শেষ গন্তব্যর দিকে রওনা হই জাপানিজ টেম্পলে (Japanese Temple). নিপ্পনজান মায়োহজি বৌদ্ধ মন্দির নামেও এটি পরিচিত, এই মন্দিরটি 1972 সালে নির্মিত হয়েছিল এবং দার্জিলিং শহরের কেন্দ্র থেকে 10 মিনিটের দূরে জালাপাহাড়ের পাহাড়ে অবস্থিত।
কিছুক্ষন ঘুরে ব্যাক করে চলে আসি হোটেল এ। হোটেলে এসেই হট শাওয়ার নিয়ে একটু রেস্ট নিয়ে বের হয়ে পড়ি লাঞ্চ করার জন্য। হোটেলের পাশেই বাঙালি রেস্টুরেন্ট থেকে দুপুরের খাবার শেষ করি। আবার রুম এ ব্যাক করে ক্যামেরায় এবং পাওয়ার ব্যাঙ্ক এ চার্জ দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। সন্ধ্যার পরে উঠে বের হই দার্জিলিং চৌরাস্তার দিকে। বৃস্টি একদম নেই। বেশ জমজমাট ভাব. গানের আসর জমেছে। বাচ্চারা খেলা করছে। কেও ঘোড়ায় উঠছে।
বেশ কিছুক্ষন থাকার পর বৃষ্টি নামতে শুরু করে। আস্তে আস্তে আমি রুম এর দিকে এগোতে থাকি। রুম এ সময় কাটিয়ে রাতের দিনার করতে বের হই । ডিনার শেষে বেশ কয়েককাপ চা খেতে খেতে গল্প হয় কলকাতার বাঙালি একটা গ্রুপ এর সাথে। ১১ টার পর হোটেল রুম ব্যাক করে বাসার সবার সাথে কথা বলে ঘুমিয়ে পড়ি পরের দিনের সাইট সিইং এর অপেক্ষায় ----
- Kalimpong:
Delo Park
Science Center
Lamahatta
Pineview Nursery
Follow me on FLICKR , UNSPLASH , 500PX
For more Travel Story : https://fahimmuntashir.com/travel